গণমাধ্যমে কথা বলতে হলে সরকারি কর্মকর্তাদের নিতে হবে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি। এমনকি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও মতামত তুলে ধরার ক্ষেত্রে মানতে হবে এই নিয়ম। এমন নির্দেশনা সমালোচনার জন্ম দেয়ার পর জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী বলছেন, সরকারি কর্মচারীরা ব্যক্তিগত মতামত বা বিভ্রান্তিমূলক বক্তব্য দিতে পারেন না। সরকারি কর্মচারীদের এমন নির্দেশনার বিষয়টি স্বাভাবিক বলেই মনে করেন, সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব আলী ইমাম মজুমদার।
জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী বলছেন, সরকারি কর্মচারীরা ব্যক্তিগত মতামত বা বিভ্রান্তিমূলক বক্তব্য না দিয়ে কেবলমাত্র কল্যাণমূলক বক্তব্য দিতে পারেন।
জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তারা এমন কথা বলেছেন যা তাদের ব্যক্তিগত মতামত, কিন্তু একজন চাকরিরত থাকা অবস্থায় সেটা ঠিক নয়।
গণমাধ্যমসহ বিভিন্ন মাধ্যমে সচিবদের কথা বলার ক্ষেত্রেও বিভাগীয় প্রধান হিসেবে মন্ত্রীর অনুমতি নিতে হবে বলে জানান তিনি।
তিনি আরো বলেন, ডিসিরা যদি এমন বিষয়ে আলোচনা করতে চান, সেক্ষেত্রে মিনিস্ট্রিতে অনুমতি নেবেন।
সরকারি প্রতিষ্ঠানের বিধিমালা অনুসরণ করার নির্দেশনাটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া বলেই মনে করেন, সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব আলী ইমাম মজুমদার।
সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব আলী ইমাম মজুমদার বলেন, যে বিধিটা বলবৎ আছে, সেটি কার্যকর করার জন্য পদক্ষেপ নেয়া কোনো সমস্যা নয়।
এ ধরনের নির্দেশনায় নিয়মের কোন ব্যত্যয় ঘটেনি বলেও মনে করেন সাবেক এই কর্মকর্তা।